চরফ্যাসন,ভোলাঃ চরফ্যাসনের শশীভূষন বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী মুন্নির মুখে এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় আজ ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টায় কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের আয়োজনে কলেজের সামনে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় কয়েকশ শিক্ষার্থী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল খালেক সিকদারের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে একই এলাকার তোতা ও হানিফ এ্যাসিড নিক্ষপ করে দগ্ধ করে দেয়।ওই ছাত্রীর বাবা পরদিন চরফ্যাসন থানায় ২ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলা নং ০৩ তারিখ ০৫-০২-২০২১।
পুলিশ বলছেন,আসামীদোর গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীদের দাবী তাদের সহপাঠী কে এ্যাসিড নিক্ষপকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দূষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া হউক। আর যেন কোন ছাত্রীকে এ্যাসিডে ঝলসাতে না হয়। শুক্রবার রাত ৮ টায় মোবাইল ফেইসবুকে ছবি দেখছিলেন। হঠাৎ খোলা জানালায় একই এলাকার খালেক মাঝির ছেলে হানিফ, ও ছালাউদ্দিনের ছেলে তোতা মিলে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে এ্যাসিড মেরে ঝলসে দিযেছিলো।
রাতেই চরফ্যাসন থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন মিয়া হাসপাতালে এ্যাসিডদগ্ধ মেয়েটিকে দেখতে যান এবং বিস্তারিত শুনেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় আবদুল্লাহপুর ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল খালেক সিকদারের বাড়ীতে এমন পাশবিক ঘটনাটি ঘটিছে। আহত মুন্নি জানান, আমাকে যারা এ্যাসিড তারা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়। অজানা কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। চরফ্যাসন থানার ওসি মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে ।
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস