আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশে পুন:রায় কঠোরতা আরোপ

ইউরোপ ডেস্কঃ আজ বুধবার ৩ ফেব্রুয়ারী অস্ট্রিয়ার সমাজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে,আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশের পূর্বে আগের মত পুনরায় অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং অবশ্যই করোনার নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করতে হবে। এই সনদ অবশ্যই ৭২ ঘন্টার মধ্যে হতে হবে। যাদের সনদ থাকবে না তাদেরকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে পূর্বের মতোই ৫ দিন পর নিজের খরচে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনাক্ত হলে ১০ দিনের পূর্বেই বের হওয়া যাবে।

অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছেন,অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করতে হলে এখন থেকে পুনরায় নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে নিবন্ধকরণ প্রয়োজনের পাশাপাশি তাদের অবশ্যই একটি অ্যান্টিজেন বা পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল থাকতে হবে যা সাত দিনের চেয়ে পুরানো নয়। যারা যাত্রী সপ্তাহে একবারেরও কম অস্ট্রিয়ায় আসেন তাদের অবশ্যই দেশে প্রবেশের আগে নিবন্ধন করতে হবে। এটি ১০ ​​ফেব্রুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক। করোনা পরীক্ষার ব্যাপারে, প্রবেশের পরে যাত্রীরা নিজের খরচে ২৪ ঘন্টার মধ্যে করে নেগেটিভ সনদ দেখাতে পারলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তবে যারা কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসবেন তাদের জন্য বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিলতা থাকবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একমাত্র দেশ যেখান থেকে আপনি কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ ছাড়াই অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন তা হ’ল গ্রিস এবং ফিনল্যান্ড। তাছাড়াও থাকছে ইউরোপে দেশ নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং ভ্যাটিকান। ইউরোপের বাহিরের দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর থেকে আসলে কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ লাগবে না। কেননা এই সমস্ত দেশ সমূহ বর্তমানে করোনার কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে জাপানে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপের মধ্যে পড়েছে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভ্রমণের বিষয়, এই বিধিটি স্পষ্ট করে যে কোনও ব্যবসায়ী ভ্রমণকারী হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কী প্রমাণ প্রয়োজন। পেশাদার কারণে বিশ্বাসযোগ্যতা এখন থেকে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিশ্চিতকরণ, বিতরণ নোট, আদেশের নিশ্চয়তা বা একটি সাক্ষাত্কারের তারিখের নিশ্চয়তার প্রমাণ আবশ্যক। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে ব্রিটিশদের জন্যও এখন নতুনত্ব রয়েছে। ব্যবসায়িক ভ্রমণের মতো ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত গ্রেট ব্রিটেনকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে বিবেচনা করায় এখন থেকে বৃটেন থেকে আর সহজেই কেহ অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে না।

এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ১,৫২০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৫ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২৫৭ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২৫৫ জন,Steiermark রাজ্যে ২৪৮ জন,OÖ রাজ্যে ২০৭ জন,Salzburg রাজ্যে ১৯৭ জন, Tirol রাজ্যে ১৩১ জন,Kärnten রাজ্যে ১৩০ জন,Voralberg রাজ্যে ৬৮ জন এবং Burgenland রাজ্যে ২৭ জন নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।

অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৮,২৮৩ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৭,৯০২ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৩,৯৬,৭০৯ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৩,৬৭২ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩০৬ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৬৯৩ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।

কবির আহমেদ /ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »