ইউরোপ ডেস্কঃ পিমকি তাকে পুনরুদ্ধারের জন্য কোন পরিকল্পনা বা সাহায্য চায় নি। আজ অস্ট্রিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার ফ্যাশন চেইন “পিমকি’ (P.M.A. Modehandels GmbH) প্রতিষ্ঠান তাকে দেওলিয়া ঘোষণার জন্য আদালতে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। ফলে সমগ্র অস্ট্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ১৩ টি শাখা বন্ধ এবং ৭৬ জন কর্মচারী বেকার হয়ে পড়বেন। একটি সূত্র বলছে,আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অস্ট্রিয়ার কয়েক শতাধিক ছোট প্রতিষ্ঠানও নিজেদেরকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।
অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে আজ মঙ্গলবার ২ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানটি ভিয়েনার বাণিজ্যিক আদালতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য একটি আবেদন পত্র (মামলা) লিপিবদ্ধ করেছেন। সকালে ভিয়েনায় ঋণ গ্রহীতাদের সুরক্ষা সমিতি একেবি, কেএসভি এবং ক্রেডিটর্মোফর্ম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,দেউলিয়ার ফলে প্রতিষ্ঠানটির ৭৬ জন কর্মচারী বেকার এবং ১৩ টি শাখা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২,৩ মিলিয়ন ইউরো। পরপর তিনবার লকডাউনে ফাঁকে ফাঁকে প্রতিষ্ঠানটি খুললেও কর্মচারীরা স্বল্প সময়ের কাজ করছেন। তাছাড়াও করোনার লকডাউনের কারনে অধিকাংশ সময় এই তরুণীদের ফ্যাশন ডিজাইনের কাপড়ের দোকানটিতে বিক্রয় প্রায় বন্ধই ছিল। ফলে আয় একেবারেই শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে।প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ তার কর্মচারীদের কেবলমাত্র ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করতে পেরেছেন।
প্রতিষ্ঠানটিকে পুনর্গঠনের কোন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটির দেউলিয়ার ফলে কর্মচারী বাধে প্রায় ৬০ জন অংশীদার ঋণ খেলাপিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র শেয়ারহোল্ডার হ’ল ফরাসি ডিরামোড এসএএস। জার্মানি, ইনলভ্যালেন্সির প্রক্রিয়া ফ্রেমোড জিএমবিএইচ বোন সংস্থায় মুলতুবি রয়েছে। বেতন ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
একমাত্র শেয়ারহোল্ডার হ’ল ফরাসি ডিরামোড এসএএস। জার্মানিতেও এই প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান Framode GmbH ইনসলভ্যালেন্সির প্রক্রিয়ায় মুলতুবি অবস্থার মধ্যে রয়েছে। জার্মান ফ্যাশন চেইন অ্যাডলার তিন সপ্তাহ পূর্বেই দেউলিয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। নিজস্ব বিবৃতি অনুসারে, এটি ছিল জার্মানির অন্যতম বৃহত টেক্সটাইল খুচরা বিক্রেতা। এই গ্রুপটির ২০১৯ সালে প্রায় ৫০০ শত মিলিয়ন ইউরোর বিক্রয় ছিল এবং অস্ট্রিয়ায় তার ২৪ টি শাখা রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারনে টেক্সটাইলের এই খুচরা খাতটি অনলাইন খুচরা থেকে ক্রমশ প্রতিযোগিতা অনুভব করে পিছিয়ে পড়েছে। করোনার মহামারীর কারনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ রয়েছে।
অতি সম্প্রতি,কাপড়ের দোকান শিল্প জায়ান্ট এইচএন্ডএম (H&M) ও একটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ঈঙ্গিত দিয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছেন যে,তৃতীয় বিশ্ব থেকে তাদের অর্ডারের ডেলিভারীতে স্টোর পূর্ণ হয়ে গেছে। লকডাউন ক্রমাগত বর্ধিতের কারনে সবকিছুই এক চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে রয়েছে। অস্ট্রিয়ান সরকার গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে পুনরায় দোকান-পাট, ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্কুল খোলার। ঘোষণার একদিনেরই মাথায় পিমকি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করলো।
কবির আহমেদ /ইবি টাইমস