ভোলার চরফ্যাসনে জেনারেল হাসপাতাল খরিদা জমির মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

চরফ্যাসন(ভোলা) : চরফ্যাসন জেনারেল হাসপাতাল ও খরদা জমির মালিকদের সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজ শনিবার সকালে চরফ্যাসন প্রেসক্লাবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জমির মালিক মিজানুর রহমান । এসময় জমির মালিক দিলারা বেগম সহ চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক গন উপস্থিত ছিলেন।

ভোলার চরফ্যাসন পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডে ১৯৬৬-৬৭ সনে নিলামে খরিদ সুত্রে দখলীয় সম্পত্তি ওয়ারিশ থেকে ১০ জুলাই ২০১৯ তারিখে চরফ্যাসন সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে৷ যার দলিল নং ৪০১৯ অনলাইন নামজারি নং ১৪২৯ কিন্তু দীর্ঘ ৫৩ বছর পরে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জনৈক আবু জাহের তালুকদার উক্ত জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে কিছু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে গত ১৯ জানুয়ারি- ২০২১ তারিখে চরফ্যাশন যুগ্ন জজ (২য়) আদালতে আমাদের দলিল বাতিলের জন্য মোকদ্দমা দায়ের করেন৷ যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক বলে দাবি করেছেন মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম ৷

জানা যায়, ১৯৬৬-৬৭ সনের পূর্বে দীর্ঘ অনেক বছর মুকবুল খান এবং আবুল হাসেম মাস্টার জমির খাজনা, দাখিলাসহ তৎকালীন সরকারের নিয়মকানুন না মানার কারনে সরকার ১২ একর ৭ শতাংশ জমি নিলামে তুলে৷ যাহার নিলাম কেইস নং ৩৪৬-L/৬৬-৬৭৷ উক্ত সরকারের নিলামে তোলা জমি জয়গুন খানম ক্রয় করেন যার বিএস খতিয়ান নং ৬৮০, নামজারি কেইস নং ২৭৭/F৭৭/৭৮ এর সাথে বায়না নামা,দখল নামা খাজনা রশিদ সকল কিছু সংগ্রহীত আছে ৷ জয়গুন খানমের ২০১২ সনে মৃত্যু হলে বিক্রি শেষে অবশিষ্ট ১একর ৫১শতাংশ জমি তার ছেলে মেয়ে ওয়ারিশ সুত্রে মালিক হন ৷ ওয়ারিশ নজরুল ইসলাম,রহিমা বেগম,হুমায়ুন কবির,রিয়াজ খান, ফাতেমা বেগম তাদের জমির বিএস ৯৫২ দাগে মিজানুর রহমান,দিলারা বেগম,ইকবাল হোসেনসহ ৬ জনের নিকট ৩৫.৭১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন৷ ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে মিজানুর রহমান ও দিলারা বেগম এর ১৫.৭১ শতাংশ জমির উপর জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷

এ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, এ জমিটি ছিলো একটি ডোবা ২০১৯ সনে আমরা ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ভরাট করেছি ৷ দীর্ঘ এতোটা বছর কেউ কোনদিন এ জমির মালিক দাবি করেনাই এখন ভরাটের পর জমিটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় জনৈক ব্যক্তি অহেতুক মামলার মাধ্যমে আমাদেরকে হয়রানি করছে ৷ তার সাথে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে৷ আমরা আদালতে জমির মালিকানার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেছি ৷ বিষয়টি আদালতে সিদ্ধান্ত না হওয়ার পূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ৷ বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারি ৷

তিনি আরও বলেন, চরফ্যাশন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডে আমার বসত বাড়ির কিছু জমি বিক্রি করে উক্ত জমি ক্রয় করা হয়েছে৷ কারো জমি জোর পূর্বক দখল করার ইচ্ছা বা ক্ষমতা আমাদের নেই৷ এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট৷

জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস

EuroBanglaTimes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »