ইউরোপ ডেস্কঃ ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে বেলজিয়াম ১ মার্চ পর্যন্ত সকল অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে । এখন থেকে কোন ১ মার্চ পর্যন্ত কোনও ছুটি বা অবসর ভ্রমণের অনুমতি নেই। এই নিষেধাজ্ঞা সড়ক, বিমান, জাহাজ এবং রেল যোগাযোগের উপর প্রযোজ্য হবে। ফলে এখন থেকে বেলজিয়াম থেকে কেহ অহেতুক ভ্রমণে বের হতে পারবে না এবং কোন বিশেষ কারন ছাড়া কাউকে বেলজিয়ামে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বুধবার দেশটির সরকার তার বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে বেলজিয়ামের বিভিন্ন সীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। করোনার নতুন মিউটেশন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে দেশটি নতুন করে এই ব্যবস্থা নিল। খবরে প্রকাশ প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডসে মিউটেশন ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার পর বেলজিয়াম আত্মরক্ষার্থে জরুরী ভিত্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলো।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে বেলজিয়াম ভ্রমণে ও বের হওয়ার অনুমতি রাখা হয়েছে। বেলজিয়ামে ব্রাসেলসে যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতর তাই কূটনৈতিক বৃন্দগণ,স্বামী / স্ত্রী বা সঙ্গীর সাথে দেখা, কাজের জন্য বা অধ্যয়নের কারণে ভ্রমণ এবং নিকটাত্মীয়দের শেষকৃত্যের জন্যও অনুমতি রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরে প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রো বলেছেন, “আমরা আমাদের দেশের চারদিকে প্রাচীর তৈরি করছি না।” শুধুমাত্র করোনার সংক্রমণের বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে এই সময়ের মধ্যে যারা বিশেষ প্রয়োজনে বের হবেন বা বেলজিয়ামে আগমন করবেন তাকে বা তাদেরকে অবশ্যই যথাযথ কারন দর্শাতে হবে এবং সরকারের নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকার প্রধানগণ এক ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে ইইউর মধ্যে অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধের ব্যাপারে একমত পোষণ করেছিলেন। বেলজিয়ামের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে সেই সিদ্ধান্তেরই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ১১.৫ মিলিয়ন বাসিন্দার বেলজিয়াম করোনার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে চাইছে।
বেলজিয়ামের স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের তথ্যমতেগত দুই সপ্তাহে ১,০০,০০০(এক লাখ) জনপদে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২৫২ জন, যার বৃদ্ধি শতকরা হিসাবে ১২% শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে বেলজিয়ামে করোনার প্রতিদিনের গড় সংক্রমণ ছিল ২,৪৪৮ জন। আজ বেলজিয়ামে আক্রান্ত হয়েছে ১,৭৮৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ২৯৩ জন। এই পর্যন্ত দেশটির মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৯৬,৬৪২ জন এবং মোট মৃত্যুবরণের সংখ্যা ২০,৮৭৯ জন।
কবির আহমেদ /ইবি টাইমস