হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জন-জীবন। মাঘের শুরুতেই হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘন কুয়াশায় উপজেলার ছিন্নমূল, অসহায় ও হতদরিদ্রদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আর সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও অন্যান্য শ্রমজীবী লোকজন। মাঝে মাঝে নিরুত্তাপ রোদের দেখা মিললে ও এক তৃতীয়াংশ সময় ঢাকা থাকে সুর্য, প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাসা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না, অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। এতে করে মানুষের জন্য জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।
এখন কৃষকরা বোরো চাষের জন্য জমি তৈরি করেছে, জমিতে পানি সেচ চলতেছে, কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহের জন্য তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। অন্যদিকে ঠান্ডার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্দি-জ্বর কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত নানান রোগবালাই। নানা সমস্যায় কস্টে দিনাতিপাত করেছে শায়েস্তাগঞ্জবাসী। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের দরুন সকালে ও সন্ধ্যায় প্রচুর কুয়াশা নামে। কুয়াশার দরুন ঢাকা সিলেট মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রবিবার রাতে ও সড়ক দুর্ঘটনায় একজন স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। প্রচন্ড কুয়াশায় গাড়ি চালালে রাস্তাঘাট ঠিকমত দেখা না যাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা বেড়েছে। অলিপুর এর ট্রাক চালক আব্দুল জলিল বলেন, এই কয়েকদিন প্রচুর কুয়াশা পড়ে,রাতের বেলা হেডলাইটে ও ভাল করে রাস্তা দেখা যায়না, কিন্তু জীবীকার তাগিদে ঝুকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়। ব্রাহ্মণডুরার গাড়ি চালক আতাউর জানান, কুয়াশার দরুন আমি রাতের ডিমান্ড এড়িয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করি, তবুও মাঝে মাঝে কুয়াশায় ঝুকি নিয়েই চালানো লাগে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারনে বিপদে আছে বিভিন্ন পশুপাখিরাও। প্রতিদিনই মহাসড়কে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদেরকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যেতে দেখা যায়। রাতের বেলা রাস্তা পারাপার হতে গেলে গাড়ির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারাতে হয় তাদেরকে। ঘন কুয়াশার মাঝে সড়কে চুরি ডাকাতির ঝুকি ও থাকে বেশি, তবুও থেমে থাকে না জীবন, অসচ্চলদের কাজে যে যেতেই হবে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার সাথে সাথে মহাসড়কে তীব্র কুয়াশা দেখা যায়। যাতে কোন দূর্ঘটনা না ঘটে তাই আমরা ইতিমধ্যেই টহল বৃদ্ধি করেছি। এরই সাথে মহাসড়কের পাশে যাতে কোন গাড়ি দাড় করিয়ে না রাখতে পারে সেদিকে নজরদারি করছি। চালকদেরও বিভিন্ন ভাবে সচেতন করার চেস্টা করছি।
মোতাব্বির হোসেন কাজল/ ইবি টাইমস