ভোলা: ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা’ এই মানবিক আবেদনই যেন ফুটে উঠে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চর ভেদুরিয়া গ্রামের হাজীর হাট সংলগ্ন রাস্তার পাশেই বসবাস আবদুল মালেক (৮৩) দম্পতির বর্তমান অবস্থা দেখলে।
এই দম্পতির দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিবাহ হয়েছে,দুই ছেলে দিনমজুরের কাজ করেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ছেলেরা নিজেদের যার-যার কর্মস্থলে কিন্তু বৃদ্ধ বাবা মায়ের খবর রাখছে না তারা। বৃদ্ধ আবদুল মালেক ও ফাতেমা দম্পতির এই বৃদ্ধ বয়সে কষ্টের শেষ নাই, খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছেন এই দম্পতি। এলাকার মানুষের দেওয়া খাবার খেয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন আবদুল মালেক ও ফাতেমা বেগম। রাস্তার পাশে এই জরাজীর্ণ ঘর হলেও ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছেন স্থানীয় মেম্বার হোসেন পাটোয়ারী এবং ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কিন্তু কারো নজরে পড়েনি রাস্তার পাশে একটি চেয়ার নিয়ে ভিক্ষুকের মত বসা থাকা অসুস্থ্য এই আবদুল মালেক কে।
সরেজমিনে গেলে দুই চোঁখের পানি টলমল করতে দেখা যায় মালেক-ফাতেমা দম্পতির। মালেক বলেন, আমরা গরীব মানুষ কোন রকম জীবনযাপন করি। আমাদের খবর কেউ রাখেনি, মেম্বার চেয়ারম্যানও কেউ না। একটি ভাতা কার্ড ছিলো কিন্তু এখন আর টাকা পাই না। মৃত্যুর আগে বঙ্গবন্ধুর কন্যার দেওয়া একটি পাকা ঘরে থাকতে চায় মালেক-ফাতেমা দম্পতি। এবিষয়ে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো আবদুল মালেক এর জন্য ঘরের ব্যবস্থা করতে পারিনি তবে আগামী বরাদ্দে ব্যবস্থা করবো
সাব্বির আলম বাবু /ইবি টাইমস