ভোলায় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ ও পরিবেশ দূষনরোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

ভোলা: ভোলায় পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে ও পরিবেশ দূষনরোধে “আমার বাজার আমার দায়িত্ব” স্লোগানকে সামনে রেখে পরিস্কার পরিছন্নতা অভিযান চালান বিভিডি’র সেচ্ছাসেবকরা। পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে এই উদ্যোগটি হাতে নিয়েছে এক ঝাঁক তরুন সেচ্ছাসেবক।

রতনপুর বাজারে সেচ্ছাসেবীরা নিজ হাতে বাজারটা সম্পূর্ন পরিস্কার করে কোস্ট ট্রাস্টের সহযোগিতায় ৬টি ডাস্টবিন দেয় ও ৫০০ মাক্স বিতরণ করেন । মানুষ কে পলিথিন ও  প্লাস্টিক বাবহারে সচেতন এবং বাল্যবিবাহ ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ে ধারনা দেন। তাদের এই মহৎ কাজে উপস্থিত ছিলেন শিবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মাইনউদ্দিন, বাজার কমিটির সাধারন  সম্পাদক হাদিসুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ মিয়া ও উপস্থিত ছিলেন বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ।

এই সময় রতনপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাইনউদ্দিন বলেন, “যে কাজটি আমাদের করা উচিৎ ছিল সেটা আজ আমাদের তরুনরা করছে। মানুষকে সচেতন করছে, পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল মানুষের সামনে তুলে ধরছে।” তিনি আরও বলেন, পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হলে অবশ্যই কারখানা বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। খাল, বিল, নদী, এমনকি সাগরের দূষণের অন্যতম কারণ পলিথিন ও প্লাস্টিক। সরকার উদ্যোগ না নিলে পুরো দেশের মাটি ও পানি দূষিত হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ মিয়া বলেন, “মাটিতে প্লাস্টিক থেকে টক্সিক রাসায়নিক পদার্থ গাছে মিশে যাচ্ছে। প্লাস্টিক মানুষের শরীরে আরো অনেক মরণ ব্যাধির পাশাপাশি ক্যান্সারের জন্য দায়ী।”

ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলার সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, “পলিথিনের ব্যাগ কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারের করে মানুষ যেখানে সেখানে ফেলছে। যার ফলে মানুষ ও প্রানীকুলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে, তাই আমরা মানুষ কে সচেতনতার পাশাপাশি বাজারে ৬ টি ডাস্টবিন ও ৫০০ মাস্ক বিতরন করি। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের করা কাজের মাধ্যমে দেশ ও মানবতার সেবা আরও অগ্রসর হবে।”

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, ভলিন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলার অর্থ সম্পাদক ইসমাইল, প্রজেক্ট অফিসার খালেদ, হিউম্যান অফিসার জুবায়ের, মিতু, তামজিদ, জুঁই, নাজিম, আরিফুর রহমান, দিপু, শাহিন প্রমুখ।

সাব্বির আলম বাবু/ ইবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »