চরফ্যাসন(ভোলা): দেশের ধান-চালের বড় মোকাম নওগাঁয় পাইকারিতে চালের দাম কমছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে তিন থেকে চার টাকা অর্থাৎ বস্তা প্রতি প্রায় ২শ’ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলা বাজারগুলোতে কোনো প্রকার দাম কমার প্রভাব পড়েনি । বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে ৷ এবিষয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের অন্ত নেই৷ মঙ্গলবার ১৯ জানুয়ারি চরফ্যাসন বাজার ঘুরে এবং ক্রেতাদের একাধিক অভিযোগে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে ৷
চাল ক্রেতা মাহবুব জানান,দেশে এ বছর ধান উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে এর আগে আমদানি করা ভারতীয় চালও রয়ে গেছে । ফলে চালের দাম এক সপ্তাহ পূর্বে কমলেও চরফ্যাসনের ব্যবসায়ীরা এখনো পূর্বের দামেই বিক্রি করছে৷ ব্যবসায়ীরা বলছে, আমাদের এ চাল আগের বেশি দামে ক্রয় করা৷ ক্রেতা আরও বলেন,কোন মালামালের দাম বৃদ্ধি হওয়ার খবর পেলেই ব্যবসায়ীরা মজুতের কমদামে কেনা মালামাল বেশি দামে বিক্রি করা শুরু করে ৷ কিন্তু এখন বেশি দামে কেনা চিন্তা করে বাজার মূল্যে বিক্রি করছেন না কেন ?
চরফ্যাসন বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালকলগুলোর গুদামে এবং চাল আড়তদারের মোকামে প্রচুর চাল মজুত আছে। চালের দাম কমে যাওয়ায় মিল মালিকেরা আমাদেরকে চাল দিতেছেন না ৷ এমন অবস্থায় আমরা কি করবো ৷ চরফ্যাসন বাজার বনিক সমিতির কর্মকর্তারা বলেন,অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে ধানের সরবরাহ কম থাকে বলে চালের দাম কিছুটা বাড়ে। অথচ এ বছর উল্টো চিত্র, দাম কমছে । এতে যেসব ব্যবসায়ী বেশি করে চাল মজুত রেখেছিলেন,তাঁদের অবস্থা খারাপ। তার পরেও আমরা বলে দিয়েছি যে, দেশের চাল বাজারের সাথে সমন্বয় করে চাল বিক্রি করতে হবে ৷
জামাল মোল্লা /ইবি টাইমস