ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহনমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শনিবার দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি ছিল, কোনো কোনো পৌরসভায় ৭০ শতাংশের বেশি এবং সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। এমনকি ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা শঙ্কা-আশঙ্কা থাকার পরও ভোটে উপস্থিতি ছিল ৫৭ শতাংশের বেশি।
মন্ত্রী বলেন, অতীতের মতো দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে সার্বিকভাবে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। ভারতে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিল। সেই তুলনায় আমাদের দেশে এ নির্বাচন অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ৪৬ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আওয়ামী লীগ ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে এবং বিএনপি পেয়েছে ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে, প্রথম দফা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মাত্র ২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল, এবার সেটা বেড়ে ৪জন হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি স্বাভাবিক। প্রথম এবং দ্বিতীয় দু’দফা নির্বাচনেই জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাদের দুর্বলতা ঢাকা আর মুখ রক্ষার জন্য এ বক্তব্য দিচ্ছেন। জনগণ থেকে তারা যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন এবং উপজেলা-পৌরসভা পর্যায়ে তাদের সংগঠন যে দুর্বল হয়ে গেছে, সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই তাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী।
এরপরও বিএনপি কয়েকটি আসনে নির্বাচিত হয়েছে এজন্য দলটিকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এ সময় সহিংসতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, বিএনপি বহু জায়গায় হামলা চালিয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় নানা ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ইতিপূর্বেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং এখনও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারেও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মির্জা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা আব্দুল কাদের বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামাতের প্রার্থীদের সম্মিলিত ভোটের চেয়ে তিনগুণ ভোট বেশি পেয়েছেন। এজন্য আব্দুল কাদের মির্জা নিশ্চয়ই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।’
সম্প্রতি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বিএনপি ও জামাতের দোয়া মাহফিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এবং দেশে আরো কিছু গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। শেষ পর্যন্ত তারা দোয়া-মাহফিলকেও ষড়যন্ত্রের অংশ এবং উপলক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে। এটি আসলেই দুঃখজনক এবং এ ধরণের ষড়যন্ত্র তারা আগেও করেছে। কিন্তু এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।
ঢাকা প্রতিনিধি/ইউবি টাইমস