ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করবে সরকার।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকায় ‘সেবা সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেয়া হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের সেবা সংক্রান্ত সকল তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত হতে মন্ত্রণালয়ের সেবার জন্য আবেদন করা যাবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা গর্ভনমেন্ট টু পারসন (জি টু পি) পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে সরাসরি বীর মুক্তিযোদ্ধার একাউন্টে দেয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, এ পদ্ধতিতে সকল আনুষঙ্গিক সারচার্জ সরকার বহন করবে। এজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেজ সফটওয়্যার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এম আই এস) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। করোনার ভ্যাকসিন প্রথম ধাপেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত সকল স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের সকল বধ্যভূমি, সম্মুখ সমরের স্থানসমূহ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সকল শহীদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের কাজ চলছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিকমানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা প্রতিনিধি/ইউবি টাইমস