ইউরোপ ডেস্কঃ অস্ট্রিয়ায় লকডাউন বর্ধিতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহকে আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে সরকার অর্থনৈতিক সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী গেরনট ব্লুমেল (ÖVP)। তিনি আরও জানান,ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান সমূহকে আগামী জুন মাস পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। এই সাহায্য অনুদানের জন্য সরকার ১ বিলিয়ন ইউরোর একটি জরুরী বাজেট ঘোষণা করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন,লকডাউনটি ৭ ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বাড়ানোর ফলে সরকার পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহকে প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সহায়তার পরিকল্পনা করেছে। একটি নির্দিষ্ট ব্যয় ভর্তুকি এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াও, প্রতিষ্ঠান সমূহ”ব্যর্থতা বোনাস” এর জন্য আবেদন করতে পারবে। এটি তুলনামূলক সময়কালের টার্নওভারের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬০,০০০ হাজার ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। আপাতত এই সাহায্য অনুদান সরকার আগামী জুন মাস পর্যন্ত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বর্তমানে নতুন এই অনুদান বা ডিফল্ট বোনাস সেই সমস্ত সংস্থাগুলি বা প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য প্রযোজ্য যারা লকডাউন দ্বারা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এগুলি হ’ল এমন সংস্থাগুলি যা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি তবে পাবলিক ফ্রিকোয়েন্সি না থাকার কারণে কম বিক্রয় করতে হবে। ব্লুমেল বলেছেন, ইইউ আইন অনুসারে, প্রতিটি সংস্থার লোকসানের ক্ষতিপূরণের জন্য সর্বোচ্চ তিন মিলিয়ন বা নির্দিষ্ট ব্যয় ভর্তুকির জন্য ৮০০,০০০ ইউরো এবং অন্যদিকে ব্যর্থতা বোনাস অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ব্লুমেল বলেন, অস্ট্রিয়া ইইউ পর্যায়ে এই ক্যাপটি বাড়ানোর জন্য জার্মানি, ডেনমার্ক এবং চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে কাজ করছে। অবশ্যই এটি দেখতে হবে যে জুনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে কিনা।
এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ১,২৬৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২৮১ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২৬৬ জন,Salzburg রাজ্যে ১৬৮ জন, OÖ রাজ্যে ১৫২ জন,Steiermark রাজ্যে ১৩৩ জন, Kärnten রাজ্যে ৯৭ জন,Tirol রাজ্যে ৮৪ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৫৫ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৩১ জন নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৯৩,৭৭৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৭,০৮২ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৩,৬৯,২১৮ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭,৪৭৮ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩২৮ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১,৯৬৩ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ/ ইউবি টাইমস