ভিয়েনা: অস্ট্রিয়ান সংবাদ সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করতে হলে তাকে অনলাইনে সরকারের নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। এই আইন অস্ট্রিয়ান নাগরিকসহ সবার জন্য প্রযোজ্য। পুরো ইউরোপসহ অস্ট্রিয়ায় করোনার নতুন মিউটেশন ভাইরাস B 1.1.7 এর সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে জরুরী ভ্রমণ বা যাত্রীদের জন্য কিছুটা ব্যতিক্রম থাকবে।
নতুন নির্দেশনার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইন থাকার শর্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কোয়ারেন্টিন এখনও দশ দিনের জন্য প্রযোজ্য, যদিও পাঁচ দিন পরে একটি পরীক্ষা করানোর সুযোগ রয়েছে।
অস্ট্রিয়াতে প্রবেশকারী প্রত্যেককেই জন্মের তারিখ, ই-মেইল, আবাসিক ঠিকানা (অস্ট্রিয়াতে কোথায় অবস্থান করবেন), প্রবেশের তারিখ, প্রস্থানের সম্ভাব্য তারিখ (প্রযোজ্য) এবং কোন দেশ থেকে এসেছেন, সেসব তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এছাড়া শেষ দশ দিনের জন্য অবস্থান যদি আবাসিক ঠিকানার থেকে আলাদা হয় তাহলেও সবাইকে তথ্য সরবরাহ ফরম পূরণ করতে হবে।
অস্ট্রিয়ার এই নতুন নিবন্ধকরণ আইনের তথ্যটি অস্ট্রিয়ান সরকার ২৮ দিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখবে এবং তারপর তা মুছে ফেলবে। যদিও এই নতুনটি নিয়মটি অস্ট্রিয়ান এবং অস্ট্রিয়ায় বসবাসকারী সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন,আগত যাত্রীদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয়েছেন- তাদের নিবন্ধকরণ করার প্রয়োজন হবে না। অস্ট্রিয়ার উপর দিয়ে পেরিয়ে যাওয়া লোকদেরও কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন হবে না। যেসব লোক জরুরীভাবে পরিবারের জন্য প্রবেশ করছেন যা স্থগিত করা যায় না – উদাহরণস্বরূপ জানাজা বা শেষ কৃত্য অনুষ্ঠান ইত্যাদি তাদেরও নিবন্ধকরণ করার প্রয়োজন হবে না।
এদিকে আজ ১৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রিয়া তার প্রতিবেশী দুই দেশ চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। গতকাল অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রিয়া চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়ায় ৪৫ টি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। লক্ষ্যটি হ’ল করোনার ভাইরাসের বিস্তারকে আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
কবির আহমেদ/ইউবি টাইমস