নিউজ ডেস্ক : পুরো ইউরোপ জুড়ে চলছে বৃটিশ মিউটেশন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। এরইমধ্যে জার্মানি তার লকডাউন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত করতে পারে এমন আভাস দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
অস্ট্রিয়ার বহুল প্রচারিত দৈনিক Kronen Zeitung অস্ট্রিয়ান জানিয়েছে, বৃটিশ মিউটেশন বা পরিবর্তিত ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আতঙ্কে সহসাই খুলছে না অস্ট্রিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।সংবাদ পত্রটি জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী সেমিস্টারের ছুটির শেষে খোলার চিন্তা করছে সরকার। সে হিসাবে অস্ট্রিয়ায় স্কুল খুলতে পারে ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহে। আগামীকাল বুধবার ১৩ জানুয়ারী শিক্ষামন্ত্রী হাইঞ্জ ফ্যাসম্যান সরকারের সিদ্ধান্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
সরকারে আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৮ জানুয়ারী থেকে অস্ট্রিয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সরকারের এ সিদ্ধান্ত বদলে যাচ্ছে বৃটেনের নতুন রূপান্তরিত ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের আশঙ্কায়।
অস্ট্রিয়ায় সরকারী ভাবে নতুন ভাইরাসে ৫ জনের আক্রান্ত শনাক্তের কথা বলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরও অনেক বেশী।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে অস্ট্রিয়ার দৈনিকটি আরও জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত Distance Learning অর্থাৎ অনলাইন ক্লাশ অব্যাহত থাকবে। অস্ট্রিয়ান ফেডারেল সরকার ও তাদের কোয়ালিশন পার্টনার গ্রীণ পার্টিও সম্ভাব্য সতর্কতার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এদিকে, আজ (১২ জানুয়ারি) অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ১,৫৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। রাজধানী ভিয়েনায় নতুন করে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ৩৪৩ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ২৪৭ জন,Steiermark রাজ্যে ২২৩ জন,Salzburg রাজ্যে ২২২ জন,OÖ রাজ্যে ১৯৬ জন,Tirol রাজ্যে ১৪৯ জন,Vorarlberg রাজ্যে ৮৭ জন,Kärnten রাজ্যে ৮৪ জন এবং Burgenland রাজ্যে ২৪ জন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮৩,৮৩৩ জন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৬,৮১৯ জন। করোনার থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩,৫৭,৫৬২ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯,৪৫২ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৭৮ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,৩০১ জন। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
কবির আহমেদ/ইউবি টাইমস