ইউরোপ ডেস্ক থেকে,কবির আহমেদঃ অস্ট্রিয়ার শিক্ষামন্ত্রী হাইঞ্জ ফ্যাসম্যান (ÖVP) অস্ট্রিয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,আগামী বুধবার ১৩ ই জানুয়ারী অস্ট্রিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কখন পুনরায় খোলা হবে সে ব্যাপারে সরকারী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বর্তমানে চলমান লকডাউনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৮ তারিখ খোলার কথা আছে। অবশ্য সরকার ইতিমধ্যেই লকডাউনের সময়সীমা ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত বর্ধিত করেছে এবং ১৮ তারিখ থেকে দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য খোলার সিদ্ধান্তও স্থগিত করে ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ার দৈনিক সংবাদ পত্র Der Standard জানিয়েছে সম্ভবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গত ৭ জানুয়ারী থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন Distance Learning বা দূরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। তাছাড়াও ৭ জানুয়ারী থেকে কর্মজীবি অভিভাবকদের শিশুদের জন্য কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারী স্কুল (Volksschule) বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমকে শিক্ষামন্ত্রী ঈঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাধ্যতামূলক স্কুল এবং উচ্চ বিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার তারিখ ১৮ জানুয়ারীর পরিবর্তে ২৫ জানুয়ারীর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন,সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং বুধবার এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শিক্ষামন্ত্রী হাইঞ্জ ফ্যাসম্যান সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেন,সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে অত্যন্ত একবার সকল শিক্ষার্থীদের করোনার এন্টিজেন টেস্ট বা দ্রুত পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন সকল শিক্ষার্থীদের করোনার পরীক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে তবে এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়।
এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১,৫৩৬ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। রাজধানী ভিয়েনায় আজ নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ৩০২ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে NÖ রাজ্যে ৩৫১ জন,Salzburg রাজ্যে ১৯৯ জন, Steiermark রাজ্যে ১৯৪ জন,OÖ রাজ্যে ১৭৯ জন, Kärnten রাজ্যে ১১৩ জন,Tirol রাজ্যে ৮১ জন, Vorarlberg রাজ্যে ৭৬ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৪১ জন নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮২,২৫৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬,৭৪৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ৩,৫৫,৫৩০ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯,৯৮১ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৭৯ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,২৯৭ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।