ভারতের পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে ভ্যাকসিন আমদানী করতে হবেঃ জিএম কাদের

ঢাকাঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, প্রয়োজনে ভারতের পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আমদানী করতে হবে।

রবিবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয়ে দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ১৬ থেকে ১৮ কোটি মানুষের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বিকল্প উৎসের সাথে সরকারিভাবেই যোগাযোগ থাকতে হবে। তিনি প্রতিটি মানুষের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার দাবিও জানান। এছাড়া ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারকে পরামর্শ দেন। বলেন, কোটি কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবলকে এখনই প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, প্রতিটি সরাকারি হাসপাতালে করোনার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এখন শুধু বেসরকারি হাসপাতালে করোনার উন্নত চিকিৎসা আছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও তদবির করতে হচ্ছে। এ কারণেই উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা সুচিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়েছে। মানুষ যেন সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে করোনার উন্নত চিকিৎসা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী দিনে একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি। কারণ, বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন, তিনি রাজনীতির বাইরে আছেন। আবার তাদের আরেক শীর্ষ নেতা দেশের বাইরে, দলে তার গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বে শুণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগের অন্তর্দন্ত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ঢাকার সাবেক এক মেয়র বর্তমান মেয়রকে দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য ঘোষণা করেছেন প্রকাশ্যে। আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ভাই যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে তাদের বর্তমান অবস্থা। এমন বাস্তবতায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চান। ক্ষুধা, দারিদ্র, শোষণ, বঞ্চনা, দুর্নীতি ও বেকারত্বমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি।

জিএম কাদের বলেন, দেশে নাকি মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আসলে বৈষম্য বেড়েছে। কিছু মানুষ লুটপাট করে টাকার পাহাড় জমিয়েছে। তাদের টাকা দেশে রাখার জায়গা নেই, এখন বিদেশ পাচার করছে। বিদেশে বেগম পাড়া হচ্ছে দেশের টাকা পাচার করে। তাই মাথা পিছু আয় বেড়েছে কিন্তু তাতে দেশের মানুষের মঙ্গল হয়নি। করোনার আগে দেশে সাড়ে ৪ থেকে ৫ কোটি বেকার ছিলো, এখন বেকার বা আধা বেকারের সংখ্যা কেউ জানেনা।

ঢা. প্র/ইউবি টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »