ফিচার ডেস্কঃ ভোলার তজুমদ্দিনে এবছর সরিষার ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। চারদিকে সরিষার ক্ষেত যেন বাতাসে দুলছে এবং প্রাকৃতিক এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁচড়া,শম্ভুপুর, চাঁদপুর, মলংচড়া,সোনাপুর মোট ৫টি ইউনিয়নে এ বছর ৩শ জন কৃষককে ৩শ বিঘা জমিতে সরিষা চাষের জন্য সরকার বীজ ও সারের সহায়তা প্রদান করেন। সে অনুযায়ী উপজেলায় ১ হাজার ৩শত ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সার, বীজ ও কীটনাশকের সংকট না থাকালে লক্ষমাত্রার চেয়েও অতিরিক্ত চাষাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন চাষিরা।
এ বছর উৎপাদনের লক্ষ মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১হাজার ৯শ ৫০ মেট্টিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। উন্নত জাতের বীজ হিসেবে এ অঞ্চলের চাষীরা বারী,বিএডিসি,টরী ও বিনা সহ ৮টি জাতের সরিষার চাষাবাদ করে থাকেন। যার ফলনও অনেক বেশি বলে কৃষকরা জানান।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন ক্ষতি না হলে এবার সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর তিনি সরিষার আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হন। এবছর তিনি এক একর জমিতে বারী জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছেন। চাঁদপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষী মোঃ শামছুদ্দিন বলেন,বর্তমানে সময়ে লেবার খরচ বেশী না হওয়ায় অল্প খরছে এবং কম পরিশ্রমে সরিষা চাষ করে ভালো লাভবান হওয়া যায়। আমি প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। গাছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ধরায় আশানুরূপ ফলন পাওয়ার আশা রাখি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া বলেন, তৈল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সরকারের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ সরবরাহ এবং প্রকল্পের মাধ্যমে সরিষার প্রদর্শনী বাস্তাবায়নের ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কৃষি অফিস সবসময় কৃষকদের সহযোগিতা, পরামর্শ এবং উদ্ধত করার কারণে এবছর সরিষার বম্পার ফলনের আশাবাদী আমরা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ঝাপ পোকার আক্রমন না হলে কৃষকেরা হাসি মুখে ফসল ঘরে তুলতে পারবে এবং লাভবান হবে।
শরীফ আল-আমীন, তজুমদ্দিন(ভোলা) /ইউবি টাইমস/ ০৯-০১-২১