সাব্বির আলম বাবু, ভোলা: অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় ভোলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান কাজ বন্ধ। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কোড-৭০১৬) এন অনুকূলে চলতি অর্থ বছরে কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। একইসঙ্গে পরিশোধ করা হয়নি ঠিকাদারদের পাওনাও। ফলে জেলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান কাজ প্রায় বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।
করোনা সংকটের সময় কাজ বাস্তবায়ন বন্ধ ছিল। বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে অর্থাভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ বন্ধ থাকলে সরকারের শিক্ষা খাতের বড় উদ্যোগ ভেস্তে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভোলা জেলার কয়েকটি চলমান কাজ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদাররা প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন। জেলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিন্স ইউনিয়নের জিএম হাই স্কুল ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে ।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ছামাদ রবিনের সাথে যোগাযোগ করলে কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে তিনি জানান, ৭০ লাখ টাকার কাজ শেষ হয়েছে। গত অর্থ বছরে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। এবছরে কোন বরাদ্দ না আসায় এখন পর্যন্ত বিল পাননি, তাই কাজ বন্ধ রেখেছেন। তিনি জানান, সকল দফতরে বছরে কমপক্ষে চার বার ফান্ড আসে। এলজিইডিতে সেপ্টেম্বরে ফান্ড এসেছে আবার এই ডিসেম্বরেও উন্নয়ন কাজের ফান্ড এসেছে। অথচ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগে চলতি অর্থ বছরের ৬ মাস গেলেও কোন ফান্ড আসেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিমান্য বাবু জানান, ধারণা ছিল ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ভবনে স্কুলের কার্যক্রম শুরু করতে পারব, কিন্তু ঠিকাদার কাজের বিল না পাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন। কবে কাজ শেষ হবে, আর কবে নতুন ভবনে স্কুলের কার্যক্রম শুরু করতে পারব এটা শুধু ভগবানই জানেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভোলা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ইউরোবাংলা টাইমস কে জানান, রাজস্ব খাতের আওতায় নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কোড-৭০১৬) এর আওতায় ভোলা জেলায় ৫০ থেকে ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান কাজ চলছে।তবে, চলতি বছরে অর্থ বরাদ্দ জটিলতায় বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ স্কুলের-কলেজের নির্মাণ কাজ। তিনি আরো জানান, প্রতি মাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনের সাথে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়ে থাকে। খুব শিগগিরই জটিলতা দূর হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
সাব্বির আলম/ইউবি টাইমস/আরএন/০৭.০১.২১