আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নজিরবিহীন এক সংঘর্ষ দেখলো যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটাল ভবনে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছে। অধিবেশন কক্ষেও তাণ্ডব চালিয়েছে ট্রাম্পের সমর্থকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে জারি হয়েছে কারফিউ । জরুরিভিত্তিতে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ।
নজিরবিহীন এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সংঘর্ষের পর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
এ হামলাকে দু:খজনক বলে উল্লেখ করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়কে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে বসেছিলো ওয়াশিংটন ডিসিতে কংগ্রেসের সিনেট অধিবেশন। বাইরে তখন ট্রাম্পের সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছিলেন। এক পর্যায়ে মূল ফটক ভেঙে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। মূলতবি করা হয় অধিবেশন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ নেতাদের ভবনের বাইরে নিয়ে আসা হয়। পার্লামেন্ট ভবনের মূল কেন্দ্রেও ঢুকে তান্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। দায়িত্বে থাকা পুলিশের সাথেও সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ও গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মারা যান এক নারী বিক্ষোভকারী। পরে আরো তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া যায় ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ । যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার পর ক্যাপিটল ভবনকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পুনরায় অধিবেশন বসে। এসময় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেন,‘বিপর্যয় সৃষ্টিকারীরা জয়ী হতে পারেননি। অধিবেশন আবারো শুরু হওয়া প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র হারিয়ে যায় নি।
হামলার ঘটনায় দুঃখ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন। নির্বাচনের ফল মানতে এখনো নারাজ হলেও সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০ বছরের ইতিহাসে এরকম ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকেরা। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্বনেতারা।