নিউজ ডেস্ক থেকে,কবির আহমেদঃ ক্রিসমাসের ঠিক পূর্বে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত অস্ট্রিয়া তার দেশের সীমান্তে করোনার জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। অস্ট্রিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই সময়ে পুলিশকে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৫০০ শতাধিক সৈনিককে সীমান্তে প্রেরণ করেছে। এই সময়ে সরকার ঘোষণা করে যে, যথাযথ করোনার পরীক্ষার সনদ প্রদর্শন না করলে অস্ট্রিয়ায় ঢুকতে দেয়া হবে না এবং বাহিরের দেশ থেকে প্রবেশ করলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাচঁদিন পর কেহ নিজ খরচে করোনার পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ দেখালে সে কোয়ারেন্টাইন থেকে বের হতে পারবে।
আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় এই পর্যন্ত প্রায় ১০,০০০ হাজার মানুষকে অস্ট্রিয়ায় ঢুকতে দেয়া হয় নি এবং ৫৫,০০০ হাজার মানুষকে এই পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তবে যারা সীমান্তে বসবাস করেন এবং কাজ করেন তাদের জন্য কোয়ারেন্টাইনে ছাড় দেয়া হয়েছে। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অস্ট্রিয়ান কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দিয়েছে যে ১৯ ডিসেম্বর থেকে পুলিশ এই পর্যন্ত সীমান্তে ৭ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষকে চেক করেছে। সেনাসদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে সীমান্ত পুলিশকে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। যে ১০,০০০ হাজার মানুষকে অস্ট্রিয়ায় ঢুকতে দেয়া হয়নি তারা তৃতীয় দেশের নাগরিক। অর্থাৎ তারা ইউরোপী ইউনিয়নের সদস্য দেশের নাগরিক নন।
সোমবার অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার তাদের প্রচেষ্টার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ সদস্যরা এই করোনা মহামারী শুরুর পর থেকেই তাদের সর্বাত্মক দিয়ে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন।” তিনি ১৯ ডিসেম্বর থেকে নতুন বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালনে প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে আজ অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২,৩১১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০০ জন। রাজধানী অস্ট্রিয়ায় আজ নতুন করে সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন ২২২ জন। অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে Steiermark রাজ্যে ৬৪৫ জন,NÖ রাজ্যে ২৯১ জন,OÖ রাজ্যে ২৭৪ জন,Tirol রাজ্যে ২৬৬ জন, Salzburg রাজ্যে ২১৩ জন,Vorarlberg রাজ্যে ১৭৪ জন,Kärnten রাজ্যে ১৩৭ জন এবং Burgenland রাজ্যে ৮৯ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।
অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত করোনার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৬৯,৭২১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৬,৪৫৭ জন। করোনার থেকে এই পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন মোট ৩,৪৩,০৩৯ জন। বর্তমানে আজ অস্ট্রিয়ায় করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০,২২৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ৩৭১ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২,৪০৪ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।