নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুর কাদের বলেছেন, বিরোধীদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মামার বাড়ির আবদার। এটা কোনো জনদাবি নয়।
রবিবার (৩ জানুযারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কেনো মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে সরকার- এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক বলেন, বিরোধীদের দাবি মধ্যবর্তী তামাশা। বিএনপি যে ভোট ডাকাতি করেছে সেটি ভাঙ্গা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি যে ধরণের নির্বাচন করেছে সেটা হচ্ছে না এখন। আগের দিনে ভোট হয়ে গেছে এমন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি প্রতি বছরই আন্দোলনের ডাক দেয়। গনআন্দোলনের সফলতা দূরে থাক, ঢেউ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। বিএনপির এসব বক্তব্য দলকে চাঙ্গা রাখতে ও ব্যর্থতা ঢাকার কৌশল বলে উল্লেখ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। বলেন, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বাসায় বসে হিন্দি সিনেমা দেখা আর পুলিশের গতিবিধি পর্যবেক্ষন করাই বিএনপির কাজ। কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় তাদের নেত্রী সাময়িকভাবে মুক্ত আছেন, এটাই বিএনপির এতো বছরের সফলতা। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নতুন বছরে সরকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, পেন্ডামিকের কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে। এদেরকে কাজ দেয়া ও নতুনদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা নতুন বছরের চ্যালেজ্ঞ। নতুন বছরে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরনও বড় চ্যালেজ্ঞ মন্তব্য করে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলা করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে। সব মিলিয়ে অবস্থা আশানুরুপ। করোনা মোকাবেলায় সরকার আশা করছে দ্রুত সময়েই ভ্যাকসিন আনা যাবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় অনেক কাজ করা গেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ঈর্ষণীয়। এটা আন্তর্জাতিক ভাবেই স্বীকৃত।
দল প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনিয়ম দেখলে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছেনা। শুদ্ধি অভিযান চলমান আছে বলেও জানান তিনি। বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে। এখন পর্যন্ত সরকার নিজের লোকদেরকেও ছাড় দিচ্ছেনা বলে দাবি করেন কাদের। জানান, বিদ্রোহী হয়ে যারা আগে জয়ী হয়েছেন, তাদেরকে এবার দল মনোনয়ন দেয়নি।
কাদের জানান, করোনার কারনে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ধীর গতি। তবে, ফেব্রুয়ারী থেকে আশা করা যায় দলের কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
নিজ মন্ত্রনালয় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের যে দায়িত্ব পালন করছি- সে অনুযায়ী তিনটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। যথাসময়েই এসব প্রকল্প শেষ করার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক। মন্ত্রী হিসেবে সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাকেই অগ্রাধিকার দেবেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের জানান, ২০২২ এর ১৭ মার্চ চালু হতে পারে পদ্মা সেতু। এছাড়া সরকারের বেশিরভাগ মেগা প্রকল্পই ২০২২ এ চালু হয়ে যাবে বলেও আশা করেন তিনি।
মতবিনিময়ের শুরুতে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সস্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। বলেন, দলে তার ভূমিকা যথেষ্ট অবদান রেখেছে। সৈয়দ আশরাফের রাজনৈতিক চিন্তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভালো-মন্দ মিলেই রাজনীতি চলতে থাকে।
ঢাকা/ইউবি টাইমস/ আরএন/০৩.০১.২১