চলমান বিউটি ট্রেন্ডে ঘুরেফিরে আসছে কোলাজেনের কথা। এটি সম্পর্কে সবার সম্যক ধারণা আছে তা বলা যাবে না। তবে কোলাজেন আসলে প্রাকৃতিক প্রোটিন, যা মানুষের শরীরেই তৈরি হয়। আর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। ত্বককে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখে। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ফলে বিউটি রুটিনেও এটা এখন বেশ জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হলিউড তারকা জেনিফার অ্যানিস্টোনও কোলাজেনের গুণগান গাইছেন। এমনকি তিনি ভাইটাল প্রোটিনস নামে একটি কোম্পানির হয়ে প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
এ জন্য বিউটি ইন্ডাস্ট্রিও এখন ঝুঁকেছে এর দিকে। এখন বাজারে কোলাজেনসমৃদ্ধ অনেক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া খাওয়ার জন্য আছে কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট। বিভিন্ন সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে কোলাজেন ফেসিয়ালও করা হয়। তবে এ ধরনের সাপ্লিমেন্ট আর প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আমাদের দেশে খুব একটা সহজলভ্য নয়; অর্থাৎ যা পাওয়া যায়, তা বেশ ব্যয়বহুল। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ে শুধু খাদ্য দিয়েও শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
প্রাকৃতিক কোলাজেন মাস্ক
সৌন্দর্যচর্চা কেন্দ্রে কোলাজেন ফেসিয়াল অনেক ব্যয়বহুল। তবে ঘরে বসেই হাতের কাছে থাকা মাত্র কয়েকটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার কোলাজেন ফেস মাস্ক। এই মাস্ক রোজ অথবা সপ্তাহে মাত্র দুদিন ব্যবহারেই ত্বক হবে টান টান এবং স্বাস্থ্যেজ্জ্বল। কমবে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার গতি।
হলুদের মাস্ক
হলুদে আছে কুরকুমিন নামক এক বিশেষ উপাদান, যা ত্বকের বিভিন্ন রকমের ক্ষত সারিয়ে তোলার পাশাপাশি কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক চামচ দুধ, এক চামচ মধু ও আধা চামচ হলুদবাটা মিশিয়ে তৈরি করুন হলুদের মাস্ক। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মাস্কটি মুখে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁপের মাস্ক
পেঁপের ‘পেপজাইম’ নামক এনজাইম কোলাজেনের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। পেঁপের মাস্ক তৈরি করতে লাগবে ১ টেবিল চামচ পেঁপের পাল্প এবং দু–তিন ফোঁটা লেবুর রস। এই মাস্ক ত্বক উজ্জ্বল করতেও বেশ কার্যকর।
অ্যালোভেরা
মোটামুটি সবাই জানে যে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধে অ্যালোভেরা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি ত্বক ও শরীরে কোলাজেন বাড়িয়ে থাকে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু, লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগানো যায়। এ ছাড়া মাসে অন্তত ১৫ দিন অ্যালোভেরা জুস পান করতে পারেন।