অস্ট্রিয়ায় করোনা বিপদ এখনও কাটে নি : রুডল্ফ আনস্কোবার

সোমবার ২৩ নভেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনস্কোবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, লকডাউনের ফলে সংক্রমণের বিস্তার কিছুটা হ্রাস পেলেও সপ্তাহের গড় সংক্রমণ এখনও বিপদজনক পর্যায়েই আছে। তিনি সতর্ক করে আরও বলেন,”লকডাউনের সময় শেষ হলেই সবকিছু পূর্বের মত স্বাভাবিক হয়ে যাবে এমন ভাবা যাবে না।”                                      গত ১৭ নভেম্বর থেকে অস্ট্রিয়ায় দ্বিতীয় লকডাউন ঘোষণার আজ সপ্তমদিনে সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছেন ৩,১৪৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৭১ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুডল্ফ আনসকোবার বলেছেন, “করোনার দ্বিতীয়  তরঙ্গ এখনও আমাদের মাঝে রয়েছে,” “সুতরাং লকডাউন শেষ হলেও সবকিছু আগের মতো হবে না।” তিনি উল্লেখ করেন লকডাউন ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে এই ধারা অব্যাহত হত থাকলে আমরা মনে হয় লকডাউন যথাসময়েই ধীরে ধীরে উঠিয়ে নিতে পারবো। তবে তিনি উল্লেখ করেন আজকের এই কম সংখ্যক সংক্রমণ গতকাল রবিবারের পরীক্ষার ফলাফল। সাধারণত রবিবার ছুটির দিন বলে পরীক্ষা কিছুটা কম হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণের কাছে আবেদনে জানান যে, আপনারা অনুগ্রহ করে লকডাউন ও সরকারের বিধিনিষেধ যথাযথভাবে মেনে চলুন। আর অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ অর্থাৎ পরিচিতজনদের সাথেও বিশেষ প্রয়োজন না হলে যোগাযোগ কমিয়ে আনুন। মন্ত্রী তাই নিকোলাস পরিদর্শন করার বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বয়স্ক নার্সিংহোম হোমে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান বর্তমানে বিভিন্ন বয়স্ক নার্সিংহোমে ও বৃদ্ধাশ্রমে নতুন করে ২,৭৪৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আর সমগ্র অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন বয়স্ক নার্সিংহোম ও বৃদ্ধাশ্রমে কর্মরত ১,৯১৪ জন কর্মচারীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। বয়স্ক লোকজনের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে গত কয়েক সপ্তাহে অস্ট্রিয়ায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবশেষে বলেন এই করোনা মহামারী অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত নয়,যেমন ভূমিকম্প। করোনার নিয়ন্ত্রণ আমরা সম্মিলিত চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব। তিনি সকলকে করোনার যথাযথ বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।                                                               

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Time limit exceeded. Please complete the captcha once again.

Translate »